প্রকাশিত: Fri, Dec 8, 2023 5:43 PM আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 4:19 PM
দাগনভূঞায় বিষমুক্ত করলা চাষ
আবদুল্লাহ আল মামুন: [২] নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে দাগনভূঞা উপজেলায় আবাদ হ”েছ বিষমুক্ত হাইব্রিড জাতের করলা। পরিবেশ বান্ধব জৈব সার, ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ও মালচিং পেপার ব্যবহার করে উপজেলায় সবজি চাষ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজির চাহিদা বেড়েছে। ফলে দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
[৩] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাসায়নিক সার, বালাইনাশক ও আগাছানাশক বাদ দিয়ে সবুজ সার, কম্পোস্ট, জৈবিক বালাই দমন এবং যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষই বিষমুক্ত জৈব সবজি উৎপাদন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিভাবে ফসল উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না হওয়ায় ফসল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে বিষমুক্ত নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন নিশ্চিত হয়।
[৪] এ পদ্ধতি ব্যবহার করে উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের জগতপুর এলাকার কৃষক বলাই চন্দ্র নাথ ও কৃষক নূরুল আমিন ২৪ শতক জমিতে বিষমুক্ত করলার আবাদ করছেন।
[৫] সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কৃষক বলাই চন্দ্র নাথ ও কৃষক নূরুল আমিনের করলা জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার তোলার উপযোগী করলা তুলছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে হলুদ ফাঁদ ও ফেরোমন ফাঁদসহ অন্যান্য পোকা দমন পদ্ধতিতে জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন কৃষক বলাই চন্দ্র নাথ ও কৃষক নূরুল আমিনসহ এলাকার অন্যান্য কৃষকেরা।
[৬] কৃষক বলাই চন্দ্র নাথ বলেন, আমরা উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে নিরাপদ উপায়ে যেসব ফসল উৎপাদন করি, সেগুলো প্রয়োজনে আলাদা বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে আমরা কৃষকেরা আরও লাভবান হব। পোকা-মাকড় মারার জন্য ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ যে কারণে অনেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কেজি করলা প্রাইকারী বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি কেজি করলা ৫২ দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মাচা পদ্ধতিসহ খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা।
[৭] আইপিএম প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুপ বলেন, কৃষকরা কিভাবে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করে লাভবান হতে পারবে এ ব্যাপারে প্রযুক্তি দিয়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
[৮] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, জৈবিক উপায়ে নিরাপদ সবজির চাষাবাদের লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।